স্টাফ রিপোর্টার : সিজারের পর সেলাই কাটতে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান আ. রহিম। সেলাই কাটা বাবদ চারশত টাকা দাবি করেন চিকিৎসক। সরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আ. রহিম। ক্ষুব্ধ হয়ে শেষে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে স্ত্রীর সেলাই কেটে বাড়ি ফেরেন তিনি।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত চিকিৎসক জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) শহীদুল্লাহ।
অভিযোগকারী আ. রহিমের বাড়ি পাশের উপজেলার বারহাট্টা গ্রামের চন্দ্রপুর গ্রামে।
আ. রহিম বলেন, স্ত্রী হাওয়া আক্তারের সিজার করিয়েছে নেত্রকোনায়। টাকা বাঁচাতে সেলাই না কেটেই ওখান থেকে নিয়ে আসি। পরে শুক্রবার বিকালে তাকে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাই সেলাই কাটাতে। জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক শহীদুল্লাহ এ কাজে চারশত টাকা দাবি করে বলেন, অন্য জায়গায় ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে পারেন। আমাদেরকে কয়েক টাকা কষ্ট হয় কেন?
আ. রহিম আরও বলেন, চিকিৎসকের কথা শুনে অবাক হয়েছি। পরে সরকারি হাসপাতালে টাকা দিয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাইরে গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে সেলাই কেটে বাড়ি ফিরেছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চিকিৎসক শহীদুল্লাহ’র ব্যবহৃত সেলফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুবির সরকারকে ফোন দিলে তার ব্যবহৃত সেলফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলম বলেন, অনেকে মিথ্যা অভিযোগও করে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তবে রোগীর উচিত একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া।