গিলবোয়া, ইসরায়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার। পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের নিকটবর্তী উত্তর ইসরায়েলে এটি অবস্থিত। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এটিকে ইসরায়েলের ‘সিন্দুক’ও বলা হয়। এমন সুরক্ষিত কারাগার থেকেও সম্প্রতি পালিয়ে গেছেন ছয় ফিলিস্তিনি বন্দী। তবে তাদের সন্ধানে এরই মধ্যে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছিল। সুড়ঙ্গটি এমনভাবে করা হয়েছিল যেন সেটি দিয়ে কারাগারের প্রাচীরের বাইরে একটি রাস্তায় বের হওয়া যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বন্দীদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন আল-আকসা মার্টার্স ব্রিগেডের একজন সাবেক নেতা জাকারিয়া জুবেইদি এবং ইসলামিক জিহাদের পাঁচ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের পাঁচজনই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন। হত্যাপ্রচেষ্টাসহ প্রায় দুই ডজন মামলায় জুবেইদির বিচার চালাচ্ছিল ইসরায়েল।
একজন ইসরায়েলি কারা কর্মকর্তা এ ঘটনাকে ‘বড় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছেন। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো এ ঘটনাকে ‘বীরোচিত’ বলে স্বাগত জানিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা গিলবোয়া কারাগারের নিকটবর্তী ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে ‘কিছু সন্দেহজনক লোককে’ দৌড়াতে দেখে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পর এ ঘটনার কথা জানা যায়। এরপর কারা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ভোর চারটায় বন্দীদের গুণে দেখতে পান যে ছয় ব্যক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ওই ফিলিস্তিনিরা যে কারাগারের কক্ষটিতে থাকতেন সেটির বাথরুমে গর্ত খুঁড়ে ওই সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হয়। যার শেষ মাথা ছিল জেলের ঠিক বাইরে একটি মাটির রাস্তায়।
ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে। তারা যেন ৯ মাইল দূরের পশ্চিম তীর বা জর্ডানে পৌঁছাতে না পারেন সে জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী এ ঘটনাকে বীরোচিত বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, এটা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে হতবাক করে দেবে। হামাসের একজন মুখপাত্র ফাওজি বারহুম বলেছেন, এ এক মহান বিজয় যা প্রমাণ করে যে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী আমাদের সাহসী সৈনিকদের ইচ্ছা ও সংকল্পকে পরাভূত করা যাবে না।