স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় রোয়াইলবাড়ি ফাজিল মাদরাসায় কয়েকটি পদে গোপনে নিয়োগের প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মাদরাসার গভনিং বডির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আলম এবং মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হকের বিরুদ্ধে রোয়াইলবাড়ি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
স্থানীয়া গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই প্রতিবাদ মিছিলটি রোয়াইলবাড়ি বাজারের মাছ মহাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গলিপথ প্রদিক্ষণ করে। মিছিলকারীরা ‘আ্যাকশান, আ্যাকশান’, ‘ডাইরেক্ট আ্যাকশান’, ‘নুরুলের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘হকের চামড়া তুলে নেব আমরা’ এমন ধরণের শ্লোগান প্রদান করেন।
জানা যায়, সম্প্রতি গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে নবসৃষ্ট পদে একজন করে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া এবং শূণ্যপদে পরিচন্নতা কর্মী একজন নিয়োগের শেষ প্রক্রিয়া (ইন্টারভিউ) সম্পন্ন করার বিষয়টি জানতে পেরে মাদরাসার গর্ভনিং বডির সদস্য আবুল হাশেম গোপন নিয়োগের প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রোয়াইলবাড়ি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময়ে অপ্রীতিকর সৃষ্টি হতে পারে এমনি ধারনা স্থানীয়দের।
মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য আবুল হাশেম জানান, কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে আদালতে মামলা চলার পর গত দুমাস আগে আদালত কমিটিকে ১১ মাসের জন্য বৈধতা দেয়। এরপর সভাপতি নুরল আলম তিনি সকল সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেন। মিটিংয়ে বলেন দ্রæত সময়ে মাদরাসার পদগুলোতে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য অন্তত তিনটি মিটিং দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পদগুলির জন্য অনুমোদন আনতে হবে। মিটিং করা হয়েছে আরবী ভার্সিটিকে দেখাতে হবে। তিন মিটিং করা হয়েছে সরল মনে আমরা সকল সদস্য স্বাক্ষর করি। এখন নিয়োগ লাভের জন্য অনেকে আমাদের কাছে আসে আবেদন করার জন্য। আমরা জানি না কোন পত্রিকায় কবে সার্কুলার দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মিটিংয়ের জন্য দেয়া স্বাক্ষর দেয়া কাগজ দেখিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলেছে সভাপতি। এলাকার কেউ নিয়োগ লাভের জন্য গরু বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করছে। অনেকের কাছে শোনতে পাই কারো কাছে পাঁচ লাখ আবার কাছে কোন পদের জন্য ১০ লাখ টাকা দরদাম হচ্ছে। তাই এ বিষয়টিকে নিয়ে আমরা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছি।
মাদরাসার সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আলম বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে বলেন, সম্পূর্ণ যড়ষন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। নিয়োগে কোন রকম গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী উসমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর জানান, লিখিত পেলে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে এ ব্যাপারে একজন ফোনে জানিয়েছেন।