মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
তীব্র স্রোতের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। গত বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ২ টা থেকে থেকে একটানা ৬ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই নৌরুট ব্যবহারকারীরা।
জরুরি প্রয়োজনে কোনো রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকা যেতে হলে দীর্ঘপথ ঘুরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। এদিকে বাংলাবাজার রুট বন্ধ থাকায় গাড়ির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে বিকল্প নৌরুটটিতে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া যেতে মাঝ পদ্মায় প্রবেশের পথে তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে ফেরিগুলো।
স্রোতের ঘুর্ণিপাক থাকায় পদ্মাসেতুর পিলার অতিক্রম করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এই অবস্থায় ফেরির চালকেরা ফেরি চালাতে অনীহা প্রকাশ করলে দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ফেরির চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্রোত বাড়লে ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ একটি রুট নির্ধারিত করে দিয়েছে। তবে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিগুলো ওই রুট ধরে এগিয়ে গিয়ে পদ্মাসেতুর ১০ নম্বর পিলার হয়ে মূল নদীতে প্রবেশ করবে। কিন্তু মাগুরখন্ড চ্যানেল দিয়ে এগিয়ে গিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে গেলে ওই স্থানের মাঝ বরাবর ডুবচর থাকায় পানির গতি দুই দিক দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। কখনো কখনো দেখা যায় চ্যানেলের বামপাশে স্রোত বেড়ে ডানপাশে কমেছে। আবার কিছুক্ষণ পরেই তার উল্টো হচ্ছে। এতে করে সেতুর পিলারের কাছাকাছি এসে বেশিরভাগ সময় ঘূর্ণিস্রোত এবং বাতাসের কবলে পড়তে হয়। তখন ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয় না। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দোকানীরা জানান, গত ছয় দিন ধরে কোলাহল নেই ফেরিঘাটে। দোকান খুলে শুধুই বসে থাকা। ফেরির লোকজন আর পুলিশ আসে। টুকটাক কেনাবেচা করি তাদের কাছে। লোকসানের মধ্যে আছি। এরকম চলতে থাকলে আমরা কিভাবে চলবো।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, ফেরি বন্ধ রয়েছে টার্মিনালে নেই কোনো গাড়ি। আমাদের কোনো বেচাকেনাও নাই।
বিআইডব্লিউটিএ’র মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া) মো. আহমদ আলী বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে নৌপথে স্রোত আরো বেড়ে যায়। ফেরি চলাচলের উপযোগী হতে আরও সময় লাগবে। আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধই থাকছে। তবে কখন থেকে ফেরি চলাচল করবে তা ঠিক এখন বলা যাচ্ছে না।