দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খুলে দেয়া হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্র সৈকত ফিরছে চেনা রূপে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার খুলেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্র।
এ কারণে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেতে শুরু করেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমুদ্রপাড়ে নামছে পর্যটকরা। খোলা হয়েছে সব হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। খুলেছে রেস্তোরা থেকে শুরু করে সাগরপাড়ের ঝুঁপড়ি দোকান, ছাতা-চেয়ারও। সৈকতের ফটোগ্রাফার ও ঘোঁড়ার দৌড়ও থেমে নেই। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে বিনোদনকেন্দ্র গুলো। স্বস্তিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি কড়া নজরধারিত রেখেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। করোনার সংক্রামণ রোধে লকডাউনের কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস বন্ধ ছিল সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্র। এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে সৈকত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেমে আসে সুনসান নিরবতা। জনমানব শুন্য হয়ে পড়েছে দীর্ঘ সৈকত। কিন্তু, ১৯ আগস্ট সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খুলে দেয়া হয় পর্যটন। ফলে সকাল থেকে পর্যটক মুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যেন চেনা রূপে ফিরে আসছে সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, সকল হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অবহিত করা হয়েছে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দেয়া হবে। যথাসম্ভব ঝুঁকি মুক্তভাবে পর্যটকদের সেবা দেয়া হবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্কতা মাইকিংসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এবং পর্যটন শিল্পকে অগ্রসর করতে পর্যটন ও সকল বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত সকলকে সরকারের বেধে দেয়া সিদ্ধান্ত গুলো মানতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টিতে রয়েছে। আর আগত পর্যটকদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন। সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি স্যানিটাইজার ও মুখে মাস্ক পরা অবশ্য প্রয়োজন। সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।