ই-কমার্স প্লাটফর্ম ই-অরেঞ্জ ডটকম গ্রাহকদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২০০ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি দিচ্ছে না। অর্ডার নিয়ে পণ্য না দেওয়ার টালবাহানার মধ্যেই মালিকানা পরিবর্তন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন মালিকও লাপাত্তা। সর্বশেষ অর্ডারগুলোর পণ্য দ্রুত ডেলিভারি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় গ্রাহকরা ‘তোমার টাকা আমার টাকা, দিতে হবে দিতে হবে’; ‘ই-অরেঞ্জ মালিকের বিদেশ যাওয়া, বন্ধ কর বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কার্যালয়ের সামনে প্রায় প্রতিদিনই জড়ো হচ্ছেন এর গ্রাহকরা।
মানববন্ধন থেকে গ্রাহকরা বলেন, ই-অরেঞ্জ শেষ কয়েকবার আমাদের বাইক ডেলিভারির সময় দিয়েও দেয়নি। বর্তমানে তাদের অফিস বন্ধ, কাস্টমার কেয়ার বন্ধ। তাদের সিইও বলছে, আমি কোম্পানি বিক্রি করে দিয়েছি। সে আমাদের সামনে আসছে না। সে কি দেশে আছে নাকি নাই, তাও জানা নেই। গত ১৭ তারিখ থেকে তাদের ডেলিভারি করার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বেলা ১১টায় জানায়, তারা সাধারণ ডেলিভারি ১৯ তারিখ থেকে করবে আর বাইক ডেলিভারির জন্য আরও ৪৫ দিন সময় নেবে। যেখানে তাদের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার কথা, সেখানে ইতোমধ্যে চার মাস হয়ে গেছে। সেখানে তারা আরও সময় চাচ্ছে। কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে, তারা নাকি ভ্যান্ডর পাচ্ছে না।
গ্রাহকরা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন মহলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা চাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আমাদের ডেলিভারিগুলো দ্রুত দেওয়া হোক।
গতকাল সোমবারও ই-অরেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০ জন গ্রাহক বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।