মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে মাছের ঘেরে বিষ দেয় ও ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এতে প্রায় দশ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ঘটনার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকা হানিফ বেপারি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় খালপাড় এলাকার প্রবাসী মনজুর আলী বেপারির স্ত্রী শারমিন আক্তার মিলি ৮ একর জমির ওপর দেশি রুই ,কাতলা, লাইলন টিকা, তেলাপিয়া, সরপুটি জাতের মাছ দিয়ে গড়ে তুলেছিলো একটি মাছের ঘের ও ফলজাত গাছের বাগান।
তিনি তার স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও স্থানীয়দের থেকে টাকা লোন নিয়ে দেবর মোরসালিনকে সাথে নিয়ে এই মাছে ঘেরের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ধংস করে দিয়েছে এলাকার দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে ঘেরের জমি দখল করার পায়তারা করে আসছে হানিফ বেপারী। এই নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় শালিশও হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় হানিফ বেপারী, হায়দার বেপারী, আনোয়ার হোসেন বাদলসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্যেখ করে অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর দেবর মোরসালিন অভিযোগ করে বলেন, হানিফ তার দলবল নিয়ে আমাদের ঘেরে বিষ দিয়েছে ও ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে। আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ ও ৩লাখ টাকার গাছ, মোট ৮ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় জরিত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী শারমিন অভিযোগ করে বলেন, হানিফ, হায়দার, বাদলসহ ওদের দলবল নিয়ে আমাদের ঘেরে বিষ দেয় ও আমার বিভিন্ন ফলজ গাছ কেটে ফেলে। ”আমি মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলাম। এখন আমি নিঃস্ব প্রায়। আমার প্রায় ৮লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি স্থানীদের লোন পরিশোধ কীভাবে?’। থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জরিত সকলের দৃস্টান্তমুলক বিচার চাই।
অভিযুক্ত হানিফ বেপারির, হায়দার ও বাদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, মাছ নিধন ও ফলজ গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।