স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এলমান হোসেন বাবু (১৭) নামে ব্যাটারি চালিত এক অটো রিকশা চালককে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মস‚চী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া-ময়মনসিংহ সড়কে সাহিতপুর বাজারে মানববন্ধন পালন করে এলাকাবাসী। এতে নিহতের বাবা শাহীন মিয়া ও মা নাজমা আক্তারসহ এলাকার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং পরে তারা বিক্ষোভ করে।
মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন নিহতের মা-বাবাসহ সান্দিকোনা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাহিতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য তারা মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়না মিয়া, নারী নেত্রী পুস্প আক্তারসহ আরো অনেকে।
এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এলমান হোসেন বাবুর হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। ঘটনার আজ (শুক্রবার) ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও এ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি শরিফ মিয়াসহ (৩০) অন্যান্য আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন বক্তারা।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, এ হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হউক আমরাও একমত। খুব দ্রুততম সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাহিতপুর বাজার মোড়ে অটোরিকশা চালক বাবুর সাথে রাস্তায় বাইসাইকেল সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুমন ও আরিফের তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরে মামলার আসামিরা সঙ্গবদ্ধভাবে দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে অটো রিকশাচালক বাবু ওপর হামলা চালায়। হামলা ফেরাতে এসে এখলাছ মিয়া নামে আরেকজন আহত হন। পরে বাবু ও এখলাছ মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় আহত এখলাছ মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখানো চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই নিহতের বাবা শাহীন মিয়া বাদী হয়ে থানায় শরিফ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উলেখহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।