কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : ক্ষেতের (জমি) কাঁদাযুক্ত আইল দিয়ে দীর্ঘ-পথ হেঁটে অবৈধভাবে দেয়া বাঁধ অপসারণ করলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার। তিনি বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দক্ষিণ বিশিউড়া, কামারোয়া, নন্দুরা ও পাবয়াজোড়া এলাকার কয়েকটি অবৈধ বাঁধ ভেঙে দেন।
এর আগে গত বুধবার স্থানীয়রা অভিযোগ প্রদান করেন, দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য ৫-৬ টি অবৈধ বাঁধ দেয়ায় নদী ও খালে পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের বর্ষণে এসব বাধেঁর কারণে জমানো পানি সরতে না পেরে কৃষকের লাগানো ধানের চারা ক্ষতির সম্মূখীন। এতে করে প্রায় একশ’ একরের মতো জমি চারা তলিয়ে গেছে এবং প্রায় দুইশ’ একরের মতো জমি এ কারণে চাষাবাদ করতে পারছে না। ফলে দক্ষিণ বিশিউড়ার ৩-৪ গ্রামের হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে।
পরে বৃহস্পতিবার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা, গ্রাম পুলিশ ও নেত্রকোনা সদর মডেল থানার সহায়তায় দক্ষিণ বিশিউড়া, কামারোয়া, নন্দুরা ও পাবয়াজোড়ের অবৈধভাবে দেয়া বাধঁগুলো অপসারণ করেন ইউএনও মাহমুদা আক্তার।
এ সময় নেত্রকোনা সদর উপজেলার ইউএনও মাহমুদা আক্তার বলেন, সমস্যা শুধু দক্ষিণ বিশিউড়া এলাকায় নয় অন্যান্য ইউনিয়ন ও এলাকাতেও রয়েছে। এ ধরণের সমস্যা যারা সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে নিজ দায়িত্বে অবৈধভাবে দেয়া বাঁধ অপসারণের অনুরোধ করেন। অন্য়থায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করুন। কৃষি ও কৃষককে বাচাঁনোর আহব্বান জানান তিনি।