মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
লকডাউন শেষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য। নৌরুট ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়া লোকাল বাস, মাইক্রোবাস চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর ঘাটের টার্মিনালে ব্যস্ত সময় পার করছে পরিবহন চালক ও শ্রমিকেরা। ঘাটের টার্মিনালে বন্ধ থাকা দোকানগুলোও ভোর থেকে খোলা হয়েছে।
ক্ষণে ক্ষণে বাজছে লঞ্চের সাইরেন। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে ব্যস্ততম বাংলাবাজার ঘাট।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে নৌরুটে লঞ্চ চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। লকডাউন শেষে সকাল থেকেই দূরপাল্লার বিভিন্ন জেলা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস চলাচল শুরু করেছে। গণপরিবহন চালু হওয়ায় ঘাট এলাকায় আগের মতো ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যেও রয়েছে ব্যস্ততা। ঘাটের বাস কাউন্টার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা। লকডাউন না থাকায় ঘাটে গন্তব্যস্থলে যাওয়া যাত্রীদের ভিড় রয়েছে সকাল থেকেই।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, টানা ১৯ দিন পর নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকে নৌরুটের ছোট-বড় ৮৭টি লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এছাড়া আগের মতো যাত্রীদের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। ঢাকাগামী এবং ঘরমুখো সব যাত্রীদেরই ভিড় সকাল থেকে রয়েছে লঞ্চঘাটে।
এছাড়াও নিয়মিত আসা ছোট যানবাহনের সংখ্যাও ভোর থেকে বেড়েছে। সকাল থেকে নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, মোটারসাইকেল পার করা হচ্ছে। তবে ভারী যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান সীমিত সংখ্যক করে পার করা হচ্ছে।
বরিশাল থেকে আসা আারিফুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর স্বস্তি নিয়ে ঘাটে আসতে পারলাম। বরিশাল থেকে গাড়িতে উঠেছি। সরাসরি ঘাটে এসে নামলাম। জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছি। মানসিকভাবে বেশ শান্তি লাগছে। সব গাড়ি চলছে। লঞ্চ চলছে। পথের ভোগান্তি দূর হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নৌরুটে মোট ৮৭টি লঞ্চ ও ১০টি ফেরি চলাচল করছে। লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন ও ফেরিতে ভারী যানবাহন পারাপারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ফেরিতে ভারী যানবাহন সীমিত সংখ্যক পার করা হবে।