আওয়ামী লীগ থেকে পদ হারানো ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপি টিভির অনুমোদন থাকার কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল এ এম আজাদ জানান, টিভি চ্যানেলটির অনুমোদন থাকার কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলছে। বিকেল চারটার দিকে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবে র্যাব।
এরআগে রাত ২টার দিকে জয়যাত্রা আইপি টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শেষে র্যািবের ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জয়যাত্রা নামে তার একটি আইপি টিভি রয়েছে।
তিনি জানান, তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জয়যাত্রা টিভি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সব ধরনের সেটআপ থাকলেও এই চ্যানেলটির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রাত ৮টা থেকে হেলেনার গুলশানের বাসায় অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযান চলে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত। এরপর তাকে তুলে নেন র্যাব সদস্যরা। অভিযানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, ওয়াকিটকি, বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, অভিযানের সময় তার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও হরিণের চামড়া পাওয়া গেছে। মাদকবিরোধী আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে গত রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।এতে বলা হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতি বহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপকমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের একদিন পরই ফেসবুক লাইভে এসে হেলেনা জাহাঙ্গীর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।