আশংকাজনক ভাবে সুন্দরবনের বাঘ কমে যাচ্ছে। মূলত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চোরা শিকারী, স্থানীয় শিকারী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জীবন- জীবিকা, বসতি হুমকির মুখে ফেলেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাঘ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নিলেও সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যু আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
১৯৮০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩২ বছরে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় শিকারীদের হানা ও গ্রামবাসীর পিটুনি , প্রাকৃতিক দুর্যেোগে ৬৭টি বাঘের মৃত্যু ঘটেছে।
এদিকে গত ২দশকে অর্থাৎ ২০১০ সালের পর থেকে এক হিসাবে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনে আরো ২৯টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। যার বেশীরভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যু। ২৯টির ভেতরে উপকূলবাসী আর শিকারীরাই হত্যা করেছে কমপক্ষে ২৫ টি বাঘ।
এ সবের চেয়েও বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে বাঘের শিকারপ্রাণী সংকট । ফলে খাদ্য সংকটে ভুগছে জাতীয় পশু, জাতীয় সম্পদ ।
সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা কত? কয়েকটি পদ্ধতিতে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র এলেও বাঘের সংখ্যা হাতে গোনা, ক্রমেই কমে আসছে ।
২০০৪ সালে পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে ৪’শ চল্লিশটি বাঘের হিসাব দেয় বনবিভাগ।
২০১০ সালেও বনবিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় অনুরুপ সংখ্যার কথা উল্রেখ করে।
তবে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে ২০১৫ সালের এক জরিপে। জরিপটিতে বলা হয় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১শ ৬টি! ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে গননায় এমন অশনি চিত্র ফুটে ওঠে।
আর ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, সুন্দরবনে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১শ ১৪টি।
আজ ২৯ জুলাই, বিশ্ব বাঘ দিবস। দেশের সুন্দরবন এলাকায় ‘বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন , সুন্দরবন বাঁচায় লক্ষ জীবন’শ্লোগানে দিবস টি পালিত হবে। তবে দিবসে বা ক্যালেন্ডারে আটকে রাখলেই রক্ষা পাবে না এই জাতীয় সম্পদ।
আমরা চাই ‘বাঘ বাঁচুক বাঘের মতো’ ।