কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : পালিয়ে থেকেও নেত্রকোনার মদন উপজেলায় হত্যা মামলার আসামি আব্দুল গণি বেচুর (৫০) শেষ রক্ষা হলো না। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
নিহত আব্দুল গণি বেচু তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামে মৃত মনসুর তালুকদারের ছেলে। হত্যা মামলায় জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষের ভয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামে আত্মীয় বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে থাকতেন।
শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার তিয়শ্রী বাজারে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বালালী গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে ধনাই (৩২), একই গ্রামের সঞ্জু মিয়ার ছেলে আশাদুল (২৫) ও জবশেদ মিয়ার ছেলে রফিকুলকে (২৫) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল গণি বেচু সাপ্তাহিক হাটের দিনের তিয়শ্রী বাজারে আসেন। বাজারে আওয়াল মিয়ার দোকানে বসে চা-পুড়ি খাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথালি কুপান এবং গলা কাটলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় স্থানীয় জনতা তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট সোপার্দ করেন।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী সার্কেল) রাজন কুমার দাস বলেন, হত্যা মামলার আসামি আব্দুল গণির বেচুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। স্থানীয়দের হাতে আটক তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
গেল বছরের ৮ জুন বালালী গ্রামের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় নিহত আব্দুল গণি বেচুর লোকজন। হামলায় রিয়াজ উদ্দিনের বৃদ্ধা মা সহ উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন। একই গ্রামের সবুজ তালুকদারের ছেলে সুমন (২৫) গত বছরের ১৩ জুন আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে যান। পরে সুমনকে হাসপাতালেই কুপিয়ে আহত করে আব্দুল গণি বেচু পক্ষের লোকজন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান সুমন।
সুমনের ভাই পলাশ মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল গণি বেচুকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা হত্যা মামলায় আব্দুল গণি বেচু আদালত থেকে জামিন পান। প্রাণের ভয়ে আব্দুল গণি বেচু মাখনা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন।