দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলায় ঘর পাচ্ছে ৪ হাজারের অধিক পরিবার। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঘরের দলিল উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরে বাকিগুলোও হস্তান্তরের কথা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দলিল হস্তান্তরকৃত কিছু ঘরে মানুষজন ইতোমধ্যে থাকতে শুরু করেছেন।

সেই স্বপ্নের ঘরগুলোতে যখন মানুষ থাকতে শুরু করেছেন তখনই উঠে আসে এসব ঘর নির্মাণে অপরিকল্পনা, অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির তথ্য। এমন অভিযোগ সিলেট সদরেও।

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকার চাঁনপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরের আশপাশের মাটি ধসে পড়েছে। এছাড়াও একই পরিবারের ৪ জন পেয়েছেন সেই ঘর। যাদের রয়েছে নিজস্ব জমি ও ঘর।

জানা গেছে, সিরাজ, কামাল ও মইন- এরা তিন ভাই। পিতা মৃত মছদ্দর ও মাতা আছিয়া। এই মছদ্দর বাদে একই পরিবারের চারজনই পেয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। শুধু তাই নয়, আরেকটি পরিবারের তবারক আলী ও তার পিতা আব্দুল্লাহও রয়েছেন একই তালিকায়।

একই পরিবারের সেই চারজনের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের দেওবাইবহর গ্রামে। অপর দুই বাবা-ছেলের বাড়ি ছালিরমহল গ্রামে।

এছাড়াও দেওবাইবহর গ্রামের মোস্তফার পুত্র মইন উদ্দিন ওরফে পচাও পেয়েছেন এই প্রকল্পের ঘর। যদিও মোস্তফার নামে নিজস্ব জায়গা সম্পত্তি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সিলেটভিউ ও বাংলাভিউটিভির পেইজ থেকে লাইভ করলে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিলেট সদরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এখানে দেলোয়ার নামক আরেক ব্যক্তি ঘর পেয়েছেন। ছালিমহল গ্রামে যাস বসবাসের ঘর রয়েছে এবং মায়ের নামে নিজস্ব জায়গাও রয়েছে।

এদিকে উপকারভোগীরা বলছেন- দুর্যোগসহনীয় ঘর নির্মাণের কথা থাকলেও সিলেট সদরের ঘরগুলো ঝুঁঁকিপূর্ণ। নির্মিত ঘরের সামনের মাটি ধসে পড়ছে। এছাড়া বাসগৃহে ফাটল দেখা দেয়। তবে পরে সেই ফাটল মেরামত করা হলে মাটি ধসা জায়গায় মাটি এখনও ভরাট করা হয়নি। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন দেলোয়ার হােসেন বলেন, এ ব্যাপারে তাদের কােনাে কিছু জিজ্ঞাস করা হয়নি। শুধু প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের দিন তাদের আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছিল। ভূমিহীনদের তালিকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৈরি করেছেন। কেউ তার কাছে প্রত্যয়নপত্র চাইলে তিনি তা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, ভূমিহীনদের শনাক্ত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। এক পরিবারে চারজন সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা যে একই পরিবারের তা বাছাইয়ের সময় পিতার নামটা খেয়াল করা হয়নি। তবে তারা প্রকৃত ভূমিহীন। যেহেতু তাদের নামে ঘর দেয়া হয়ে গেছে সেহেতু কিছুটা ছাড় দেয়া ছাড়া উপায় নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়গুলো আরাে সতর্কতার সঙ্গে দেখা হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে তাঁকে এ বিষয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি প্রতিউত্তর দেননি।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version