কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝগড়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে মারপিঠের অভিযোগ দায়ের করেন রহমত আলী নামে এক মুক্তিযোদ্ধা। এ ঘটনার মীমাংসার জন্য গ্রাম্য সালিশীতে না আসাকে কেন্দ্র করে ফের মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, মেয়ে ও নাতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পতিপক্ষের ওপর।
শুক্রবার এ বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় রামনগর (টাকরাপাড়া) গ্রামে এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মোছা. নাজমা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- অঞ্জন মিয়া (৩০), আজমল (২৩), আব্দুল ওয়াহাব (৫৫), মন্টু মিয়া (২৭), জুয়েল মিয়া (৩৪), রুনা আর (২৬), রফিকুল ইসলাম (৫০), নুরুন্নাহার (২৮), পলাশ মিয়া (২২)। তারা সকলেই উপজেলার একই ইউনিয়ন ও গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রতিবেশী।
অভিযোগে জানা যায়, বসতবাড়ির সীমানায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ৪ জুলাই বাদী নাজমা বেগম ও তার মা জোছনা বেগমকে (৬৫) মারধর করে পাশের বাড়ির লোকজন।
মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। আসামিগণ গ্রামে সালিশের আয়োজন করে। এতে বাদীপক্ষ না আসাতে ওরা ক্ষীপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফের লাঠিসোঠা নিয়ে মারধর করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সে মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগের অভিযোগেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।