করোনা মহামারি চলাকালে লকডাউনের মধ্যেও সরকারবিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-নির্যাতন ও হুমকি-ধামকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এতে বলা হয়েছে, ‘লিপ সার্ভিস’ দেওয়া মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। অথচ খালেদা জিয়া এখনও মুক্ত নন। তিনি কার্যত: কারাবন্দি।
বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে তার সুচিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে জনগণের পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত রাখা যাবে না। ময়মনসিংহ, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দলটি।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব অভিযোগ করেন। এসময় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, রওনাকুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, করোনা মহামারিতে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা আর জেল-জুলুমের হুমকি দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টা করছে সরকার। জনগণকে রক্ষা না করে দিনভর অসত্য বয়ানের লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন সরকারের মন্ত্রীরা। মানুষের চরম দুঃসময়ে বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণেই তারা খালেদা জিয়াকে আবার জেলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগে ভিড়তে চাইছে’- আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের এমন কথার জবাবে প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগই এখন ‘ডুবন্ত জাহাজে’ পরিণত হয়েছে। কাজেই ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজেই এখন ডুবন্ত জাহাজের যাত্রী। লকডাউন চলাকালে সংকটে পড়া মানুষদেরও বিএনপির পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, এই লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মুন্সিগঞ্জের উত্তর মুক্তারপুরের দিনমজুর দ্বীন ইসলাম ক্ষুধার তাড়নায় আত্মহত্যা করেছেন। অথচ সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা হরহামেশাই বলে যাচ্ছেন তারা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন, কেউ না খেয়ে মারা যাবে না।