স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রোগীর চিকিৎসা সনদে জালিয়াতির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে সামান্য আহত ব্যক্তিকে গুরুতর, আর গুরুতরকে সামান্য আহত দেখিয়ে চিকিৎসা সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন পৌরশহরের বারইছিড়া গ্রামের ঝুনু গোস্বামী নামে এক ভুক্তভোগী। এ সময় মোহনগঞ্জে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম আজাদ, সাংবাদিক মানিক তালুকদার, শেখ লুৎফা প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে ঝুনু গোস্বামী বলেন, গত ২৫ মে প্রতিবেশী তপন পালের হামলা গুরুতর জখম হয়ে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সপ্তাহ ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। আমার মাথার ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে।
এদিকে তপন পাল কোনো ধরনের আক্রান্ত না হয়েও ওইদিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জান্নাতুন্নেছা চাঁদনি উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তপন পালকে গুরুতর জখমি হওয়ার সনদ দিয়েছেন। অপরদিকে গুরুতর জখম হলেও আমাকে দেয়া হয়েছে ‘সিম্পল’ আহতের সনদ।
তিনি বলেন, ওই দিনের ঘটনায় আমি থানায় মামলা করলে তপন পালও পাল্টা মামলা করে। এখন ডাক্তার চাঁদনির দেয়া গুরুতর জখমি হওয়ার সার্টিফিকেট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন। এতে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্ছিত হব বলে মনে করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়টি তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন ঝুনু গোস্বামী।
ঝুনু গোস্বামীর অভিযোগের বিষয়টি সত্য সত্য বলে নিশ্চিত করেন মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন প্রসাশনিক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জান্নাতুন্নেছা চাঁদনি বলেন, এ অভিযোগটি সত্য নয়। তবে ওই প্রসাশনিক কর্মকর্তার সূত্র উল্লেখ করলে থেমে যান তিনি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মমতাজ বলেন, দুই পক্ষেরই চিকিৎসা সনদ পেয়েছি। তবে এতে কার বিষয়ে কি লিখা আছে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।
গত ২৫ মে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরে ঘটনা ঘটে। এতে ঝুনু গোস্বামী গুরুতর আহত হন। আর অপর পক্ষের তপন পালসহ তার পরিবারের পাঁচ জন আহত হয়। পরে দুই পক্ষই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
ঘটনার পরপরই তাদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক চাঁদনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, আহতদের মধ্যে ঝুনু গোস্বামী মাথায় কয়েকটা সেলাই লেগেছে। তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদের শরীরে তেমন কোন আঘাত নেই, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের কারো হাত পা ভাঙেনি। এমনকি কোন এক্সরেও করতে হয়নি।