কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনায় চায়ের দোকানে বাস নিয়ে তর্কের জেরে আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে ছুরি মেরে হত্যার করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে আনন্দপুর গ্রামের বাবা মকবুল হোসেন ছেলে।
বুধবার দুপুরে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্বর্নকমল সেন।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃতরা হলেন- ফারুক (২৩) ও জহুরুল ইসলাম। তারা সকলে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বড়ইউন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম দুজনের রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের চাচা আবদুল আজিজ বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে মরম আলী, জুয়েল মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি জহুর আলী ও ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালাতে পাঠানো হয়েছিল। আজ (বুধবার) তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের বড়ইউন্দ ও কলমাকান্দার আনন্দপুর এই দুই গ্রামের সীমানা সংলগ্ন স্থানীয় কবরস্থানকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে দুপক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় তিনবছর আগে এ বিষয়কে কেন্দ্র দুপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। গত ২৪ জুন সন্ধ্যার পরে আনোয়ার বড়ইউন্দ বাজারে একটি চায়ের স্টলে চেয়ারে বসেছিলেন।
এ বসাকে কেন্দ্র করে বড়ইউন্দি গ্রামের মরম আলীর ছেলে জুয়েল আনোয়ারের সাথে তর্ক ও বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে জুয়েল বাড়ি থেকে ছুরিসহ তার বাবা মরম আলী, ভাই সোহেল ও আত্মীয়-স্বজনকে ডেকে এনে আনোয়ার ছুরি মেরে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মকবুল হোসেন (৫৫) ও চাচাতো ভাই মনির (২৫) ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।