টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি লিগে দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন ব্রাদার্স ইয়নিয়নের মিজানুর রহমান, শেখ জামালের নুরুল হাসান সোহান ও মোহামেডানের শুভাগত হোম।
বোলারদের মধ্যে সফলতায় এগিয়ে আবাহনী লিমিটেডের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জাতীয় দলের এই পেস অলরাউন্ডার ২৬ উইকেট নিয়ে লিগে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন।
লিগে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন বোলার। দলগুলোর কোচ ও বিসিবির কর্মকর্তাদের নজর কেড়েছেন সেসব বোলার। তাদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, জিয়াউর রহমান ও তানজিব হাসান সাকিব।
প্রথম পর্ব, সুপার লিগ আর রেলিগেশন পর্ব মিলে সর্বমোট ৮৪টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তারা। লিগে ২৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন সাইফউদ্দিন। টুর্নামেন্ট সেরা বোলারের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টস ক্লাবের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বিও। ২৫ উইকেট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক এই ডানহাতি পেসার। টুর্নামেন্টজুড়ে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স কোচদের মুগ্ধ করেছে।
কম যাননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল ইসলাম। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ১৬ উইকেট দখল করেছেন তিনি।
পুরো টুর্নামেন্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন ৪ জন বোলার। তারা হলেন, সালাউদ্দিন শাকিল, মোহামেডানের রুয়েল মিয়া, প্রাইম ব্যাংকের মুস্তাফিজুর রহমান আর ওল্ড ডিওএইচএসের আনিসুল ইসলাম ইমনের।
তাদের মধ্যে রুয়েল মিয়ার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সবাই। এই ডিপিএল দিয়েই ফার্সক্লাস ক্যারিয়ারে উইকেটের ফিফটি পূরণ করেছেন রুয়েল। তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেটশিকারী তিনি।
কিপটে বোলিংয়ের খাতায় এগিয়ে আছেন শাইনপুকুরের তানভীর ইসলাম। ওভার প্রতি ৪.৭৯ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি। তার উইকেটসংখ্যা ২০টি। প্রাইম দোলেশ্বরের শরিফউল্লাহ দিয়েছেন ৫.৩৫ গড়ে রান। তার উইকেটসংখ্যা ২২টি।
নাসুম আহমেদ, হাসান মুরাদ, রাজিবুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া, অলক কাপালি, আরাফাত সানিরাও ওভার প্রতি ৬ এর নিচে রান খরচ করেছেন।
মৌসুমের একমাত্র হ্যাটট্রিকটি এসেছে আলাউদ্দিন বাবুর হাত ধরে। যা ছিল টুর্নামেন্টের চমক।