নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চায়না দোয়াইর দিয়ে নির্বিচারে ধরা হচ্ছে মা মাছ সহ ছোট বড় সকল সাইজের মাছ।
শুধু নাগরপুর উপজেলাতেই সীমাবদ্ধ না এসব জাল, গত ২ বছরে এগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকার ছড়িয়ে পড়েছে।
ফলে ব্যাহত হচ্ছে মাছের প্রয়োজন ও বংশ বিস্তার।
উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন এবং মাছের আড়ত ঘুরে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। ৫০ হাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন দৈর্ঘের এ জালগুলো দিয়ে পানির প্রবাহে এ সব জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে নির্বিচারে সকল আকারের মাছ, শামুক, সাপ, কাঁকড়া সহ সকল প্রকারের জলজ প্রাণী এ জালে আটকা পড়ে প্রাণ হারায়। ছোট একটি জালে দিনে কমপক্ষে ১ হাজার টাকার মাছ মারা পড়ে। আর এমন একটি জাল ক্রয়ে খরচ মাত্র ৫ হাজার টাকা। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় অগণিত মানুষই ঝুঁকছে চায়না দোয়াইরের প্রতি।
এভাবে মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন হতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের মাছ ও জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করে সচেতন মহল।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার মৎস সম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা মাছুম বিল্লা বলেন, এই জালের অবৈধতা বা বৈধতার বিষয়ে আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন কিছু বলা নেই। কারণ এসব জাল আমাদের এলাকায় নতুন। তবে ফিক্সড ইন্জিন আইনে মাছের মুক্ত চলাচল ব্যহত করলে, আমদের আইন প্রয়োগ করার বিধান রয়েছে। আমরা অতি দ্রুত এসব জাল দিয়ে মাছ নিধনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।