ঠিক যেন ২০১৬ সালের ইউরো কাপের পুনরাবৃত্তি। সে আসরের মতো এবারও গ্রুপপর্বে তৃতীয় হয়ে নকআউটের টিকিট পেল পর্তুগাল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেছে রোনালদোর দল।
বরাবরের মতো এবারও দলের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদো। তার জোড়া গোলেই ফ্রান্সের সঙ্গে ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে পর্তুগাল, পেয়েছে নকআউটের টিকিট। ফ্রান্সের পক্ষে গোল দুইটি করেছেন করিম বেনজেমা।
এফ গ্রুপের শেষ ম্যাচটিতে পুরো সময়টায় সমানে সমান লড়েছে পর্তুগাল ও ফ্রান্স। পুরো ম্যাচে সমান ৫টি করে শট লক্ষ্যে রেখেছে দুই দল, বল দখলের লড়াইয়েও প্রায় সমান ছিল দুই দলের অবস্থা। আর শেষ পর্যন্ত গোলের সংখ্যাও সমান হওয়ায় অমীমাংসিত থেকে গেছে ম্যাচ।
ম্যাচে রোনালদোর দুইটি গোলই ছিল পেনাল্টি থেকে। অন্যদিকে বেনজেমা নিজের প্রথম গোলটি করেছেন স্পট কিকে। ইউরো কাপের এক ম্যাচে প্রথমবারের মতো ঘটল এক ম্যাচে তিন পেনাল্টির ঘটনা। ইউরো কাপের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে জোড়া পেনাল্টির রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। হেড করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন দানিলো পেরেইরা। তার মুখে আঘাত করে বসেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি রোনালদো।
এর ঠিক ৩০ মিনিট পর দ্বিতীয় পেনাল্টি গোল করেন সিআরসেভেন। যা ছিল জাতীয় দলের হয়ে তার ১০৯তম গোল। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডে ইরানের আলি দাই-ইকে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। নকআউট পর্বে আর মাত্র একটি গোল করলেই তিনি হবেন এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
তবে জোড়া গোল করার পরেও স্বস্তিতে ছিলেন না রোনালদো। কেননা প্রথমার্ধের বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান বেনজেমা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে দুই মিনিটের মধ্যেই দলকে এগিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের এ তারকা ফরোয়ার্ড। কিন্তু রোনালদোর দ্বিতীয় পেনাল্টির সুবাদে আর জয় পাওয়া হয়নি কোনো দলের।
ম্যাচ না জিতলেও, তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্টের সুবাদে গ্রুপ অব ডেথের সেরা দল হয়েই নকআউটে গেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় দল হয়েছে পর্তুগাল। কিন্তু শীর্ষ চারটি তৃতীয় দলের একটি হওয়ায় তারাও পেয়েছে নকআউটের টিকিট। একই গ্রুপ থেকে নকআউটে যাওয়া অন্য দল জার্মানি।