লোকমান হাফিজঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। দিন হোক কিংবা রাত হোক বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন ফিরবে তার নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে।
বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে মানুষ অচল। একদিকে গরম অন্যদিকে অন্ধকার “এ যেনো চোখ থাকতেই অন্ধ”। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন উপজেলাবাসি। এরপর আবার লোডশেডিং যেন “মরার ওপর খাড়ার ঘা” হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা দিনের পরিশ্রম শেষে রাতের বেলা নেই শান্তির ঘুম। শিক্ষার্থীরা পড়া শোনায় চরম বেঘাট ঘটছে। বিদ্যুতের এই “আসা যাওয়া” লুকোচুরি খেলায় রিতীমতো বিরক্ত উপজেলাবাসি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে।
গত রোববার গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের একটি অনুষ্ঠানে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রণার কবলে পড়ে গোয়াইনঘাট পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসেবার মান নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী সুমনের নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া অফিসে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তারা গোয়াইনঘাটে অতিতের ন্যায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মিছিল দিতে থাকে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।