কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে দায়ের কোপে সাখাওয়াত হোসেন সজলের (২৫) নামে যুবক নিহতের ঘটনায় আটজনের নামসহ আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে নিহতের মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে নিহতে চাচা লালু খানের ছেলে রাজিব খানকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং মামলা রুজুর পরপরই ওই রাতেই মামলা ২নং আসামি জিয়াউর রহমান খানকে তার শ্বশুরবাড়ি উপজেলার বেজগাও থেকে আটক করে আজ (শনিবার) আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ.কে.এম. মনিরুল ইসলাম, কেন্দুয়া সার্কেলের এএসপি জোনাইদ আফ্রাদ এবং কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ও পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইম জানান, মামলার এজাহারে ২নং আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ছিটুয়া নোয়াপাড়া গ্রামের আউয়াল খান ও লালু খান সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্ধ বিরাজমান ছিল। এর জের ধরে গত ৮জুন মঙ্গলবার দুপুরে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালীন চাচা লালু খানের পক্ষের লোকজনের দায়ে কোপে আব্দুল আউয়ালে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল গুরুতর আহত এবং উভয়পক্ষের আরও ছয়-সাতজন আহত হন।
সজলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭জুন বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান সাখাওয়াত হোসেন সজল। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে সজলের মৃতদেহ বাড়িতে আসে।
গত ১৮ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে লাশ দাফনের পরপরই প্রতিপক্ষের লোকজন নিহতের চাচা লালু খানের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় লালু খানের বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং এক পর্যায়ে লালু খানের রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন।