ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাজে ফর্মের কারণে বাদও পড়েছিলেন তিনি। ধিমান ঘোষের কাছে নিজের জায়গা হারালেও তা বেশিদিন দখল করে রাখতে পারেননি। মুশফিক ফিরে এসেছিলেন নিজের মতো করেই। আস্তে আস্তে নিজেকে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য অংশ হিসেবে চিনিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশকে তার ছোট্ট কাঁধে টেনে আসছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানে পরিণত হয়েছেন মুশি। হয়েছেন বাংলাদেশের কান্ডারী, হয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ধারাবাহিক রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়ে হয়েছেন আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (মে)’।
শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ মুশফিকের কল্যাণে। ওই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরি সহ মোট ২৩৭ রান করেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের অনবদ্য ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি। এই পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার।
আইসিসির ভোটিং কমিটি, ধারাভাষ্যকার, সমর্থকদের ভোটে হাসান আলী এবং প্রবীন জয়াবিক্রমাকে পিছনে ফেলে নির্বাচিত হয়েছেন মুশি। ভোট দেয়ায় আইসিসির পাশাপাশি সমর্থকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় মুশি বলেছেন, “ধন্যবাদ সবাইকে। বিশেষ করে আইসিসিকে। মে মাসের সেরা ক্রিকেটার বাছাইয়ে সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। তার চাইতেও বড় ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি মনে করি এটা শুধু আমাকে নয়, বাংলাদেশকে আপনারা জিতিয়েছেন।”
নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে মুশফিক আরো বলেন, “আমার চেষ্টা থাকবে সামনে ভালো করার। শুধু মাস সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নয়, আমার এ পারফরম্যান্স যেন সারা বছর জুড়ে বজায় থাকে। যেন অনেক ভালো ভালো ইনিংস ও ম্যাচ উইনিং ইনিংস উপহার দিতে পারি।”
সমর্থকদের পাশাপাশি মুশফিকের এমন ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ আইসিসির ভোটিং কমিটির সদস্য সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ। মুশফিককে নির্বাচিত করার বিষয়ে লক্ষ্মণ বলেন, “১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করার পরেও খিদে মেটেনি মুশফিকুর রহিমের।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে তার ধারাবাহিকতার ছবিই স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তার ১২৫ রানের সুবাদেই ২-০ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।”