কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল চালক রাজিব হত্যা মামলায় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদকে আসামি করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ডিঙ্গাপোতা হাওরপাড়ের ভাটিয়া গ্রামের সামনের রাস্তায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে এলাকার নারী-পুরুষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মামলায় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের মা ফেরদৌসী আক্তার, স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সুয়াইর ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য ঝর্ণা আক্তার, সাবেক ইউপি সদস্য দেবেশ তালুকদার, ছনাই মিয়া, ৯নংওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেবক চন্দ্র সরকার, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রহিছ উদ্দিন, স্থানীয় ডাক্তার চন্দন আচার্য প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ৬ মে রাতে পৌরশহরের দেওথান গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রাজিবকেকে বা কাহারা হত্যা করে ভাটিয়া এলাকার একটি পুকুরে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে রাখে। এ ঘটনায় আমাদের সুয়াইর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদসহ আশপাশের গ্রামের নিরীহ ১২জনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় আসামি করা হয়। আমারা এলাকাবাসী ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা এই মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে রাতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রাজিব (২৮) মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে উপজেলার আদর্শনগর যাওযার পথে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনেরা ৭ মে ভোরে ভাটিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত রাজিবের বাবা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ১২ জনকে আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।