কথায় আছে ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটিই ফলে গেলো এজবাস্টনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে কড়া হুশিয়ারি বার্তা দিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট তো বটেই পরবর্তী সিরিজে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পাঁচটি টেস্ট জিতে অ্যাশেজের প্রস্তুতি সারতে চেয়েছিলেন তিনি।
ভারত সিরিজ এখনো বেশ দূরে। তার আগেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কুপোকাত ইংলিশরা। হেরেছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। লর্ডসেও পুরো ৫ দিন পিছিয়ে থেকে কোনও হালে ড্র করতে পারলেও এজবাস্টনে আর রেহায় পেলো না স্বাগতিকরা। কার্যত রুটদের পাত্তাই দেয়নি টম ল্যাথামরা। সাড়ে তিনদিনেরও আগেই হারতে হলো বড় ব্যবধানে।
ফলে নিজেদের নতুন মৌসুম হার দিয়ে শুরু করলো ইংল্যান্ড। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারলো তারা। সেই সাথে ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতলো কিউইরা।
এজবাস্টনে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩০৩ রানে। ররি বার্নস ৮১ ও ড্যান লরেন্স অপরাজিত থাকেন ৮১ রান করে। বোল্ট ৪টি ও ম্যাট হেনরি ৩টি উইকেট নেন। জবাবে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৮৮ রান। সুতরাং, প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানের মহামূল্যবান লিড পায় নিউজিল্যান্ড।
২য় ইনিংসে এসে ভঙ্গুর দশা হয় জো রুট-ররি বার্নসদের। মাত্র ৪১ ওভারে রানের খাতায় ১২২ রান তুলতেই ৯ উইকেট খুইয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। আর আজ চতুর্থ দিনে প্রথম বলেই অল আউট হয় ইংল্যান্ড।
৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ভারতকে হটিয়ে আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে গেল টম ল্যাথামরা। ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ম্যাট হেনরি। লর্ডসে শতক এবং এই টেস্টে ৮০ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে অভিষেক সিরিজেই সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতলেন ডেভন কনওয়ে।