কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : অপরহণ মামলা দায়েরের তিনদিন পর এক অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে (১৩) গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ এবং সেখান থেকে ওই ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য জুডিশিয়াল ম্যাটিজস্ট্রেট আদালতে নেয়া হবে জানান নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের সহায়তা জাহাঙ্গীর (২৮) নামে এক যুবককে আটক ও ওই ছাত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বারহাট্টা থানা পুলিশ।
আটককৃত জাহাঙ্গীর বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা গ্রামের ডেনডু মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ৩ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে ওই ছাত্রী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। পরে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৪ জুন (শুক্রবার) ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরকে প্রধান আসামি করাসহ আরও তিন-চারজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এ অভিযোগটি ওইদিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বারহাট্টা থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়। ৫ জুন থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।
বারহাট্টা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, মামলাটি গ্রহণের পর গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধারে কাজ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিবি পুুলিশের সহায়তায় আজ (মঙ্গলবার) গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মামলা প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ।
বিকেলের দিকে ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য নেত্রকোনা হাসপাাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্যাম্পল নেয়া শেষ হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য নেয়া হবে। এঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।