করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে শুক্রবার থেকে আরও সাতটি দেশ থেকে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে আরও চারটি দেশের বিমানের ফ্লাইট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বেবিচক। এবার আরও সাতটিসহ মোট ১১টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। ৪ জুন শুক্রবার প্রথম প্রহর অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞায় নতুন যুক্ত দেশগুলো হলো- বাহরাইন, বলিভিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং উরুগুয়ের নাম। আগে থেকে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ভারত ও নেপাল।
তবে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়ায় থাকা ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
বেবিচকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে আপাতত কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনো বাংলাদেশিও এসব দেশে যেতে পারবে না।
অবশ্য কোনো অনাবাসী বাংলাদেশি বা প্রবাসী কর্মী যারা গত ১৫ দিনে এসব দেশে গিয়েছেন তারা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরকার মনোনীত কোনো প্রতিষ্ঠানে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হবে। এছাড়া বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোষ্টারিকা, ডেনমার্ক ও গ্রিস- এ ছয়টি দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে তাদের নিজ খরচে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
আর কুয়েত এবং ওমান থেকে কেউ এলে তাকে ৩ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে তাদের বাকি ১১ দিন থাকতে হবে হোম কোয়ারেন্টিনে।
বাংলাদেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষা করে বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলকভাবে নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তবে ১০ বছরের নিচের শিশুদের কোভিড সনদ দেখাতে হবে না। এছাড়া বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে যাত্রীদের ১৪ দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছে বেবিচক।