সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগেই সাইফউদ্দিন জানিয়েছিলেন সুযোগ পেলে ৫-৬ নাম্বারে ব্যাটিং করতে চান। সম্প্রতি তার ব্যাটিং ধারটা বেড়েছে বহুগুণে। পরিসংখ্যান সেটিই বলে। ৮ ম্যাচ আগে ওয়ানডেতে ২৬ গড়ের সাইফউদ্দিন শেষ ৮ ম্যাচে প্রায় ৫৯ গড়ে রান করেছেন ১১৭। আউট হয়েছেন মাত্র দুইবার। তার মাঝে একবার আবার রান আউট। সেটিও গত ম্যাচে।
প্রথম ইনিংসের ৪৭তম ওভারে দুশমন্থ চামিরার চামিরার বাউন্সার হুক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা এসে আছড়ে পরে হেলমেটে। বাই রান নিতে গিয়ে আউট হয়েছেন ডাইরেক্ট থ্রোতে। নন স্ট্রাইক প্রান্তে ডাইভ দিয়ে আউট হওয়ার পর মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন তিনি। অথচ বিপদে থাকা দলকে উদ্ধার করতে মুশফিকুর রহিমকে ভালই সঙ্গ দিচ্ছিলেন এই ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার।
বায়ো বাবলের মধ্যে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় বায়ো সিকিউরড পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থায় মাঠ থেকে তাঁকে নেয়া হয় হাসপাতালে। স্বস্তির খবর হচ্ছে, স্ক্যান রিপোর্টে কঠিন কিছু ধরা পড়েনি সাইফউদ্দিনের। রিপোর্ট ভালো এসেছে। সাইফউদ্দিনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়নি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী যুগান্তরকে জানিয়েছেন, সাইফউদ্দিন আগের চেয়ে ভালো আছেন এখন। দলের সঙ্গে টিম হোটেলেই রয়েছেন। আপাতত তার দ্বিতীয় টেস্টের প্রয়োজন নেই।
বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে এই ফাস্ট বোলারের পরিবর্তে কনকাশন রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মাঠে নামানো হয় আরেক ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদকে। যিনি পরে বোলিং করেছেন ৮ ওভার।
উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র মাথায় চোট প্রাপ্ত খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ নিয়ম ‘কনকাশন রিপ্লেসমেন্ট’ চালু করেছে আইসিসি। বোলারের পরিবর্তে বোলার, ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যান খেলোনার নিয়ম। আর সেই নিয়ম মেনেই মাঠে নামানো হয় তাসকিনকে।
সাইফউদ্দিন-তাসকিন কনকাশন রিপ্লেসমেনন্টের মধ্যে দিয়ে অবশ্য ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেছেন এই জুটি। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এর আগে কনকাশন হলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই প্রথম। সবমিলে ২০২১ সাল এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও প্রথম কনকাশন এটি। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টিভেন স্মিথের পরিবর্তে মার্নাস লাবুশেনকে প্রথম কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামায় অস্ট্রেলিয়া।