কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : যুবলীগ নেতার দাপটে আটকে গেল সড়ক নতুন রাস্তা নির্মাণে ভাঙতে হয় যুবলীগ নেতার বাসার বারান্দার কিছু অংশ। কিন্তু বারান্দার ওই অংশ ভাঙতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ফলে বিপাকে পড়েন ঠিকাদার। শেষে বাধ্য হয়ে ওই অংশটা রেখেই রাস্তার বাকি কাজ শেষ করেন। স্থানীয়রা এমন ধারনা তবে এটুকু কাজের জন্য আটকে আছে তাদের কাজের বিল।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে সূর্যের হাসি ক্লিনিক পর্যন্ত রাস্তার কাজের চিত্র এটি।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন তার বাসার বারান্দার কিছু অংশ ভেঙে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এ কাজের এমন স্থবির অবস্থা দাঁড়িয়েছে। ফলে সামান্য কিছু কাজের জন্য বছর ধরে আটকে এ রাস্তাটিতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।
যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন পৌরমেয়র লতিফুর রহমান রতন গ্রুপের রাজনীতির যুক্ত বলে জানা গেছে এবং ড্রেনসহ ২৩০ মিটার দৈর্ঘ্যর রাস্তাটির বরাদ্দ ৫৬ লক্ষ টাকা। এ কাজে ঠিকাদার শাকিব রহমান বাপ্পী।
এ বিষয়ে ঠিকাদার শাকিব রহমান বাপ্পী বলেন, ঝামেলা মিটে গেছে। বুধবার (২৬ মে) থেকে কাজ শুরু করা হবে। আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কিছু অংশটুকু শেষ করতে পারব। এ কাজের সামন্য বিল পেলেও কাজ শেষে সম্পূর্ণ বিল পাবার আশার করছি।
পৌরসভার প্রকৌশলী শামীম আহমেদ বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধে রাস্তাটির কিছু অংশ অসমাপ্ত রয়েছে। আলোচনা করে ফয়সালা হয়েছে। তাড়াতাড়ি কাজ ধরে শেষ করবে ঠিকাদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলেঘর মালিক যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার বাসা থেকে সামনের দিকে আরও কয়েক জনের বাসা আছে। সেগুলোও ভাঙা পড়বে। সবগুলো একসাথেই ভাঙা হবে।
পৌরমেয়র লতিফুর রহমান রতন বলেন, শুধু একজনের বারান্দা নিয়ে সমস্যা না। রাস্তার পাশের আরও অনেকের বাসা বাড়িতে জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে। সবগুলো মিলিয়েই রাস্তাটা আটকা পড়েছে। সব সমস্যা সমাধান করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে হবার কথা সেভাবেই হবে।