কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনায় কলমাকান্দা উপজেলায় মাদরাসা পড়ূয়া (১৩) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিল্লাল মিয়া (২৫) নামে প্রতিবেশি বিবাহিত এক যুবকের ওপর। জানা গেছে ভিকটিম এলাকায় একটি মহিলা মাদরাসার শিক্ষাথী।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পুর্ব ঘোষপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে ওইদিন দুপুরের দিকে ভিকটিমকে নিয়ে তার বাবা প্রথমে ইউএনওকে বিষয়টি জানায়। পরে ইউএনও থানার ওসিকে জানালে ভিকটিমকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে পুলিশ। ভিকটিম ও অভিযুক্ত দুই পরিবার জনৈক হেলিম মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন।
অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া পৈতৃক বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামে। তার বাবা ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার পদে পদপ্রার্থী হওয়াতে সাইকুল মেম্বার নামে এলাকায় পরিচিত। বিল্লাল স’মিলে (কাঠ কাটার মিল) কাজ করেন। তার পাঁচ বয়সি এক ছেলে সন্তান রয়েছে এবং স্ত্রী চীন দেশে থাকেন বলে এলাকাবাসীর কাছে কথিত আছে।
ভিকটিমে বাবা রাজাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা। ভ্যানে করে কলমাকান্দা বাজারে চটপটি, ফুচকা ও ঝালমুড়ির ভ্রাম্যমান বিক্রেতা। বিক্রি শেষে রাতে ভ্যান নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে যেতে রাস্তার সমস্যার কারণে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ভিকটিমের পিতা প্রতিবেদকে বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্ত্রী ও মাদরাসা পড়ূয়া মেয়ে কান্নারত অবস্থায় কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। জানতে চাইলে মা ও মেয়ে আমাকে বলে, সকালে ভিকটিম টয়লেট থেকে বের হলে একই মালিকের আরেক ভাড়াটিয়া বিল্লাল মিয়া আমার মেয়েকে মুখ চেপে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ঘরের দরজা চাপিয়ে মুখ ও হাত বেঁধে ধর্ষন করেছে।
এদিকে সকালে বাড়ির মেইন গেইটের শব্দ শুনে আমার স্ত্রী গেট খুলে দেখে বিল্লালের শ্যালক হৃদয় এসেছে। হৃদয় পরে তার দুলা ভাইয়ের ঘরের দরজা খুলে দেখে ফেললে বিল্লাল মিয়া পালিয়ে যায়। পরে মেয়ে এসে তার মাকে ধর্ষনের বিষয়টি খুলে বলে।
এরআগেও রোজার সময় বিল্লাল তার বউকে তালাক দিয়ে আমার মেয়েকে বলেছিল তোকে বিয়ে করব। মেয়ের মুখে এসব কথা শুনে দুপুরের দিকে মেয়েকে সাথে নিয়ে ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসে।
কলমাকান্দা থানার ওসি এ.টি.এম. মাহমুদুল হক প্রতিবেদকে বলেন, ভিকটিম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে ও তা অব্যাহতও রেখেছে। ভিকটিমের পিতা অভিযোগ লিখছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্র মামলা রুজু করে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে জানান তিনি।