ঠিক স্প্যানিশ লা লিগার মত, শিরোপা লড়াই গিয়ে ঠেকেছিল একেবারে লিগের শেষ ম্যাচে। লিলে এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছিল লিগ শিরোপা জয়ের দৌড়ে। যদিও, সেখানে এগিয়েই ছিল লিলে। শেষ ম্যাচে এসেও হোঁচট খেতে হলো না ফরাসি ক্লাবটিতে। এঞ্জার্সের মাঠে গিয়ে জয় তুলে নিলো ২-১ ব্যবধানে।
সুতরাং, পিএসজির জয়-পরাজয়ের আর কোনো গুরুত্ব থাকলো না। নেইমার-এমবাপেদের আধিপত্য ভেঙে দিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন হলো লিলে। ১০ বছর পর আবারও মুকুট ফিরে পেলো লুইজ আরাউজো-রেনাতো সানচেজরা।
পিএসজির ঘরে শিরোপা উঠতে প্রয়োজন ছিল তাদের জয় এবং লিলের অন্তত ড্র। কিন্তু তারা নিজেরা ব্রেস্তের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতলেও লিলে হোঁচট খায়নি। তারা নিজেরা জয় তুলে নিয়েছে। এ নিয়ে এটা লিলের ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের চতুর্থ শিরোপা।
লিগের নির্ধারিত ৩৮ ম্যাচ শেষে লিলে পয়েন্ট ৮৩। পিএসজির পয়েন্ট ৮২। টানা চতুর্থ শিরোপার একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হলো না নেইমারদের।
এঞ্জার্সের বিপক্ষে তাদের মাঠে গিয়ে জয় পাওয়াটা লিলের জন্য ছিল একটু কঠিনই। কিন্তু তারা ছিল দৃঢ় প্রত্যয়ী। জিততেই হবে। কোনোভাবে হোঁচট খেলেই বিপদ। এ কারণে ম্যাচের ১০ম মিনিটেই জোনাথন ডেভিডের গোলে এগিয়ে যায় লিলে।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে (৪৫+১ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করলেন বুরাক ইয়ালমাজ। এই গোলটিই জয় এনে দেয় লিলেকে। কারণ, ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগে, ইনজুরি সময়ে (৯০ +২ মিনিট) একটি গোলের ব্যবধান কমান এঞ্জার্সের অ্যাঞ্জেলো ফুলগিনি।
অন্য ম্যাচে ব্রেস্তের মাঠে গিয়ে রোমেইন ফেইব্রের আত্মঘাতি গোলে প্রথমার্ধেই (৩৭ মিনিটে) ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি তথা খেলার ৭১ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় পিএসজি।