সিলেটে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া চীনা নাগরিক উই ওনটো’র (৪৮) লাশ চীনে নিতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়ে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষ করতে ততদিন লাগতে পারে। এর আগ পর্যন্ত মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
তবে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার উই ওনটো’র লাশ তার স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওনটো’র স্ত্রী ওয়াং কিউ আই ইউজিং বুধবার রাতে সিলেটে এসে পৌঁছান। পরে তিনি ওনটো’র সহকর্মী ‘খুনি’ জো চাওকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বি ব্লকের ৫ম তলার ৭ম ফ্লাটে সকালে নাস্তা করার সময় হাতধোয়া নিয়ে চীনা নাগরিক উই ওনটো এবং জো চাওকে’র মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জো চাওকে উত্তেজিত হয়ে উই ওনটো’কে ছুরিকাঘাত করেন। এর ফলে উই ওনটো মারা যান। মৃত্যুর আগে উই ওনটোও জো চাওকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে সে আহত হয়।
পরে আহত অবস্থায় জো চাওকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বর্তমানে জো চাও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
এদিকে, চীনা দূতাবাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে চীনা নাগরিক উই ওনটোর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে লাশ বুঝে নেন তার স্ত্রী ওয়াং কিউ আই ইউজিং।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে চীনা নাগরিক উই ওনটোর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সিলেটে আসা স্ত্রীর কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন সকল কাগজপত্র তার স্ত্রী দূতাবাসে জমা দিবে এবং সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। এসব প্রক্রিয়ায় এক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে বলে জানান ওসি এস এম আবু ফরহাদ।