ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে গাজায় একশ’র বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার সকালেও বিমান হামলা হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেই ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ইসরায়েলে শান্তি ফেরাতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন গাজায় হামলা চলবে।
এখন পর্যন্ত ২২৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে ইসরাইলি বিমান হামলায়। এরমধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে শতাধিক। অন্যদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেটের আঘাতে দুই শিশুসহ ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় তিনটি মসজিদও ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ‘ফিলিস্তিন আল ইয়াউম’ জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনের হামলায় তিনটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার আশঙ্কায় ৪২টি মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় ৫২ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। গত ১০ মে থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বহু বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনকেও গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ২১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ শিশু ও ৩৬ জন নারী রয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
এদিকে, গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মাত্র ২৫ মিনিটে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ১২২টি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই হামলায় ৬০টি জঙ্গিবিমান অংশ নেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদাই জিলম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মাত্র আধা ঘণ্টায় আমরা ৬৫টি স্থানে আঘাত হেনেছি। তিনি আরও দাবি করেন, তারা ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। খবর পার্সটুডে ও আল জাজিরার।