সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক। আনিসুল হক আদালত চত্ত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের একটি পবিত্র স্থানে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মঙ্গলবার  রিমান্ড শুনানি শেষে রোজিনাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর আনিসুল হক এমন মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে একটি ভবনের সিঁড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রখ্যাত সাহিত্যিক আনিসুল হক। তার কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, আনিসুল হক ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের একটি পবিত্র স্থানে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
তবে আমরা জানি, আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব এবং আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ড দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন।
তিনি  বলেন, সাবেক এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন- একটি দেশে সরকার বা সংবাদপত্র যেকোনো একটি থাকবে, এমন পরিস্থিতিতে বেছে নিতে বললে তিনি সংবাদপত্রকে বেছে নেবেন। অথচ আমাদের দেশে সংবাদপত্রকে শত্রু মনে করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের চোর বলা হচ্ছে। এটা তো হতে পারে না। তিনি আরো বলেন, সরকার চাইলেই রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। তারপরেও আমরা আইনগতভাবে লড়াই করছি।
আপনি যা যা মিস করেছেন
			
				Add A Comment			
		
	
	 
				 
				 
								
 
								