স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) সাদ্দাম হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে আরএমও সুবীর সরকারকে প্রধান ও মেডিকেল অফিসার ডা. শাকের আহমেদ জনিকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলম গত মঙ্গলবার (১১ মে) অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে শোকজ করেন। পাশাপাশি ঘটনা ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে স্থানীয় অসংখ্য মানুষ সাদ্দামের বিরুদ্ধে হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে গিয়ে হয়রানি, খারাপ আচরণসহ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেন।
বিষয়টি জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে আরএমও সুবীর সরকারের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে ডা. শাকের আহমেদ জনি তদন্ত কমিটি ও শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ঈদের পর অফিস খোলার পর কাজ শুরু করবো।
উল্লেখ্য সরকার করোনা টেস্টের জিনিস দিচ্ছে না, তাই বাহির থেকে টেস্টের জিনিস কিনে টেস্ট করতে হচ্ছে। এমন কারণ দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার নির্ধারিত ফি একশ টাকার পরিবর্তে এর দ্বিগুণ দুইশত টাকা আদায় করেন সাদ্দাম। এ ঘটনায় ফরিদা ইয়াসমিন নামে ওই নারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।