হারের পরও স্বস্তির হাসি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ওলে গানার শুলশারের যুগে যে প্রথমবারের মতো ফাইনালের দেখা পেল রেড ডেভিলসরা। বৃহস্পতিবার রাতে রোমার মাঠে ৩-২ গোলে হেরে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙেছে তাদের। তবে ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে ঠিকই।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে যে ৬-২ গোলে জিতে রাস্তাটা পরিষ্কারই করে রেখেছিল ইংলিশ ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের পথ পাড়ি দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালে উঠেছে ভিয়ারিয়াল।
রোমার মাঠে প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে এডিনসন কাভানির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। ৫৭ মিনিটে এডিন জেকো আর ৬০ মিনিটে ব্রায়ান ক্রিস্তান্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রোমা।
৬৮ মিনিটের মাথায় দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান কাভানি। তবে ৮৩ মিনিটে এসে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিকোলা জালেভস্কির নিচু শট অ্যালেক্স টেলাসের পায়ে লেগে দিক পাল্টে চোখের নিমিষে জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচে অনেকগুলো সেভ করা গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার কিছুই করার ছিল না।
শেষ পর্যন্ত হারলেও ৮-৫ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালে নাম লেখানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শুলশার। তার অধীনে চারটি সেমিফাইনাল হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, সেই দুর্ভাগ্য এবার ঘুচল।
এদিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে বল দখল থেকে শুরু করে সবকিছুতে মোটামুটি এগিয়ে থাকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ে বিদায়ই নিতে হয়েছে তাদের।
আগামী ২৬ মে পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে অনুষ্ঠিত হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভিয়ারিয়ালের মধ্যকার ইউরোপা লিগের ফাইনালটি।