চলমান বিধি নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ে বন্ধই থাকছে লঞ্চ ট্রেনসহ সব ধরনের দূরপাল্লার বাস। তবে বিভিন্ন মহানগর ও জেলায় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিকভাবে শপিং মল বন্ধ করে দেবে সরকার। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক।সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এ বৈঠক। এতে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।সচিবালয় থেকে অংশ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
পরে বেঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান,সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধ বহাল রাখতে হবে অন্তত ১৬ মে পর্যন্ত।৬মে থেকে শহরের ভেতরে বাস বা গণপরিবহন চলাচল করবে কিন্তু দূরপাল্লার বাস আগের মতোই বন্ধ থাকবে।ট্রেন ও যাত্রীবাহী নৌযানও বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান দেশে বিপণিবিতান খোলা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে সেসব তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি জানান,পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি তিন দিন।এ তিন দিনের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না। গার্মেন্টস কারখানায় ৩দিনের বেশি ছুটি দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।এ সিদ্ধান্ত সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
বৈঠকে,সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার না করলে প্রশাসনিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।টিকা নেয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়