শিরোপা স্বপ্ন শেষ অনেক আগেই। দুদিন আগেই জানতে পারে, গাণিতিকভাবেও কার্যত আর শিরোপা রেসে নাই দল। তার উপর ঘন্টাখানেক আগে আটালান্তার ড্রয়ের সুবাদে ইন্টার মিলানের শিরোপা নিশ্চিতের তীব্র ক্ষতের খবর নিয়ে উদিনেসের বিপক্ষে মাঠে নামে জুভেন্টাস।
দুঃসময় পিছু ছাড়েনি মাঠেও। দুর্বল উদিনেসের কাছে প্রায় হেরে যেতে বসেছিলো আন্দ্রে পিরলোর দল। শুরুতে নাহুয়েল মোলিনার গোলে পিছিয়ে পড়া তুরিনোর বুড়িরা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা নিয়েও পড়ে দুশ্চিন্তায়। নাপোলির ড্রয়ের দিন সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে সামনের মৌসুম ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরেও খেলতে পারবে না আন্দ্রে পিরলোর দল।
এমন দুশ্চিন্তা যখন জুভেন্টাস শিবিরে। ঠিক তখনই ডাগআউটে মাথায় হাত রাখা আন্দ্রে পিরলোর মুখে হাসি ফুটান দলের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সব চিন্তা ছুড়ে ফেলে দিয়ে অন্তিম মুহুর্তে পর্তুগিজ যুবরাজে জোড়া গোলে স্বস্তি ফিরে জুভেন্টাসে।
উদিনেসের মাঠে রোববার ইতালিয়ান সিরি’ আ ম্যাচটি ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জিতেছে প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি। গত জানুয়ারিতে লিগে প্রথম দেখায় রোনালদোর জোড়া গোল এবং ফেদেরিকো চিয়েসা ও পাওলো দিবালার লক্ষ্যভেদে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিকরা। লিগে শেষ চার ম্যাচে জুভেন্টাসের এটি দ্বিতীয় জয়।
৮৩তম মিনিটে রোনালদোর ফ্রি কিকে বল রক্ষণ প্রাচীরে রদ্রিগো ডি পলের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। সফল স্পট কিকে দলকে ম্যাচে ফেরান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। খেলা যখন ড্রয়ের দিকে গড়াচ্ছিলো। ফের দেখা মিলে আরেকবার রোনালদো ম্যাজিক।
খেলার নির্ধারিত সময়ের শেষে মিনিটে রাবিওটের ক্রসে গোলমুখ থেকে হেডে গোল করে জুভেন্টাসে জয় নিশ্চিত করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। চলতি মৌসুমে ইতালিয়ান লিগে রোনালদোর গোল হলো ২৭, যা সর্বোচ্চ। ৬ গোল কম নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে চ্যাম্পিয়ন দল ইন্টার মিলানের রোমেলু লুকাকু।
এই জয়ে টানা নয় বছর পর শিরোপাহারা জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা আরও উজ্জল হল। রাতের অন্য ম্যাচে ক্যাগলিয়ারির সঙ্গে ড্র করায় তুরিনোর বুড়িদের ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলা আরও মসৃণ হল। ৩৪ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আন্দ্রে পিরলোর দল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতালান্তা, চারে এসি মিলান।