চারদিন পরই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফিরতি লেগ খেলতে লন্ডনে যাবে দল। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ইংলিশ ক্লাব চেলসির সঙ্গে ড্র করে অস্বস্থিতে আছে লস ব্লাংকোসরা। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ফাইনাল খেলতে হলে স্টামফোর্ড ব্রীজে টমাস টুখেলের দলের বিপক্ষে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
এদিকে লা লিগারও শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে টিকে আছে দল। সবমিলিয়ে মৌসুমের মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ের ওসাসুনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে মধ্যমাঠের দুই বিশ্বস্ত সেনানী লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুসকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজানোর ঝুঁকি নিতে বাধ্য হোন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।
দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলারের অনুপস্থিতি যেন ঘরের মাঠে হাড়েহাড়ে টের পায় স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবলে গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জাগে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বিরতি পরও খানিকসময় স্বাগতিক দলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে লস ব্লাংকোসদের হতাশ করেন ওসাসুনার গোলরক্ষক সার্জিও হেরেইরা।
খেলা গড়াচ্ছিলো ড্রয়ের দিকেই। ফের যখন তীরে এসে তরী ডোবার শঙ্কা যখন মাদ্রিদ শিবিরে, ঠিক তখনই স্বাগতিক দলের ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির হোন পুরো ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। ৭৬তম মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ডের বদলি নামা ইস্কোর কর্নার থেকে করা বল হেডে গোল করে স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতান ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
গোল পেয়ে যেন জেগে উঠে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। আক্রমণের দারুণ সব পসরা সাজিয়ে ব্যতিব্যস্ত রাখে সফরকারীদের ডিফেন্ড। ফলও পায় হাতেনাতে। মাত্র ৪ মিনিট পরই ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার দুর্দান্ত রান থেকে পাওয়া বল ডিবক্সে টোকা দিয়ে জালে ঢোকান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো।
২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বাকিসময় দুদল বেশকিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলরক্ষকদের দৃঢ়তায় গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
এই জয়ে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে লা লিগায় শীর্ষে থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে জিদান বাহিনী। রাতের অন্য ম্যাচে চরম নাটকীয়ভাবে এলচেকে হারিয়ে শীর্ষে আছে দিয়েগো সিমেওনির দল।
৩৪ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৭ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭৬। সমান ম্যাচে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭১।