শেষ ২ বলে জিততে হলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে করতে হতো ১০ রান। ব্যাটিংয়ে থাকা ঋষভ পন্থ মোহাম্মদ সিরাজের পঞ্চম বলে একটি চার হাঁকিয়ে আশা জিইয়ে রাখেন।
তবে ষষ্ঠ বলে ওয়াইড অঞ্চলের ডেলিভারিটি সজোরে পেটালেও ফের বাউন্ডারি (৪) হয়। ফলে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আর এ জয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে হটিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে এলো বিরাট কোহলির দল।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চলমান আসরের ২২তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ব্যাঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে নিয়মিত উইকেট হারালেও পন্থ ও মার্কাস স্টোইনিস জুটি আশা জাগায়। তারা দুজনে মিলে ৪৫ রান করেন। তবে স্টোইনিস ব্যক্তিগত ২২ রানে বিদায় নেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি অধিনায়ক পন্থ। তিনি পঞ্চম উইকেট জুটিতে শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে ৪৪ বলে ৭৮ করে দলকে প্রায়ই জিতিয়ে নিয়েছিলেন। তবে ভাগ্য দিল্লি পক্ষে এদিন কথা বলেনি।
পন্থ ৪৮ বলে ৬টি চারে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া হেটমায়ার ঝড়ো ব্যাট করে ২৫ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের মধ্যে হার্শাল প্যাটেল ২টি উইকেট পান। এছাড়া সিরাজ ও কাইল জেমিসন একটি করে উইকেট দখল করেন।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এবি ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত ঝড়ো ফিফটিতে ভালো সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু। দল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নেমে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪২ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩১ রান করেন রজত পতিদর।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো ব্যাঙ্গালুরু। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চেন্নাই। আর হেরে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে দিল্লি।