বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকেই নেইমারের ব্যালন ডি’অর প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ধারণা করা হতো, মেসির ছায়ায় থাকলে কখনোই এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জেতা হবে না বলেই ২০১৭ সালে ক্যাম্প ন্যু ছাড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
কিন্তু পিএসজি তারকা নিজে বলছেন ভিন্ন কথা।
পিএসজি তাদের ইতিহাসে এই প্রথম টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতবার প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তাদের। এবার তাই প্রস্তুতিটা বেশ জোরেশোরে নিচ্ছে পচেত্তিনোর দল। আর নেইমারও ফরাসি জায়ান্টদের শিরোপা এনে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য অধরা ব্যালন ডি’অরের পরোয়াও করেন না তিনি।
পিএসজি যদি এবার ইউরোপ সেরা হয়েই যায়, ব্যালন ডি’অর জেতার খুব কাছাকাছি চলে যাবেন নেইমার। কিন্তু এমন দুর্লভ সুযোগ সামনে পেয়েও দৃষ্টি মাটিতেই রাখছেন তিনি। বরং তার সব দৃষ্টি আপাতত সেমিফাইনালের দিকে, যেখানে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুই লেগে মাঠে নামবে পিএসজি। এর মধ্যে বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে গড়াবে প্রথম লেগ।
পিএসজির ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে নেইমার বলেন, পিএসজি যেমন মৌসুম কাটাচ্ছে তাতে আমি খুশি। আমি এমনকি ব্যালন ডি’অরের পরোয়াও করি না। এটা নিয়ে ভাবিও না। আমি অনেক আগেই এটা নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চাই, এটা আমার জীবন ও ক্যারিয়ারে পরিবর্তন আনবে। আরও বয়স হওয়ার পর আমি পেছনে ফিরে দেখব আমি একটা, দুইটা, তিনটা বা চারটা (চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা) জিতেছি। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু নেইমার একা নন, পিএসজির কাতারি মালিকপক্ষও ইউরোপের সেরা হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দামি দামি সব খেলোয়াড় কিনে দল সাজিয়েছে। গতবার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে হতেও হয়নি। তবে এবার সম্ভাবনা দেখছেন নেইমার, ‘আমি পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলাম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্য। গতবার ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিলাম এবং আমরা এখনও উন্নতি করছি। (শিরোপা) জেতার মতো সব উপাদান আমাদের আছে। আমরা দল হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করি এবং দলের পরিবেশও দারুণ। ’