নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হওয়া ক্যান্ডি টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে চারটি। বাংলাদেশের পক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক এবং শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস খেলেছেন দিমুথ করুনারাত্নে ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা। এদের মধ্যে করুনারাত্নে আবার হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি।
তবে ম্যাচে সেঞ্চুরি না পেলেও ব্যাটসম্যানশিপের উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। দুই ইনিংসেই জাগিয়েছেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। প্রথমবার ব্যাখ্যাতীত এক শট খেলে আউট হয়েছেন ৯০ রান করে, মাত্র ১০১ বলে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন তামিম। শুধু সাবলীল না, প্রতিপক্ষ বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেছেন তিনি। যার সুবাদে ১৩১ বছর পুরোনো এক রেকর্ডে এখন লেখা হয়ে গেছে তামিমের নাম। রেকর্ডটি হলো নিজের ফিফটির সময় দলের সবচেয়ে কম রান থাকার।
রোববার ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ১ ও নাজমুল শান্ত আউট হন ০ রানে। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণের পথই বেছে নেন তামিম। ইনিংসের ১৭তম ওভারে তিন চার মেরে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের ত্রিশ তম ফিফটি। অথচ দলের রান তখন মাত্র ৫২!
টেস্ট ইতিহাসে দলের এত কম রানে ফিফটির নজির আর কারও। লর্ডসে ১৮৯০ সালের অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জন লায়নস যখন ফিফটি করেন তখন দলের রান ছিল ৫৫। প্রায় ১২৪ বছর এই রেকর্ডে এককভাবেই ছিলেন লায়নস।
২০১৪ সালে ২০১৪ সালে লায়ন্সের রেকর্ড স্পর্শ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করে ৪৬ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ইনিংসে গেইল যখন ফিফটি করেন, তখন দলের রান ছিল ৫৫।
আর এবার ২০২১ সালে এসে গেইল-লায়নসকে পেছনে ফেলে দলের ৫২ রানের মধ্যে একাই ৫০ করে ফেললেন তামিম। আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের ৩৫ ওভার বাকি থাকতেই খেলা বন্ধ হওয়ার আগে তামিম অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে। ফলে এবারও সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হয়।