পাল্লেকেলে টেস্টে আরও একবার ব্যাটিংয়ের ডাক পড়ল বাংলাদেশ দলের। টাইগারদের করা ৫৪১ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে নিজেদের ইনিংস ছেড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭ রানের লিডের নিচে পড়েছে বাংলাদেশ।
আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার কোচ মিকি আর্থুর বলেছেন, এখনও ফল আনা সম্ভব পাল্লেকেলে টেস্টে। সেই মোতাবেক আজ, ম্যাচের পঞ্চমদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যার ফলে এক সেশনেই তারা ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ৫৪১ রানের সংগ্রহ।
তবে বল হাতে বাংলাদেশও কম যায়নি। পুরো টেস্টে প্রথমবারের মতো কোনো সেশনে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। যার ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। তখনই জানায় ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত।
ফলে ১০৭ রানে থেকে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। দিনের বাকি রয়েছে ৬৮ ওভার। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে আজ দিনের প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ১৩৬ রান নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিপরীতে ৫টি উইকেটও হারিয়েছে তারা।
আলোকস্বল্পতার কারণে শনিবার ২২ ওভার কম খেলা হয়। তাই আজকের খেলা শুরু হয়েছে ১৫ মিনিট আগে। দিনের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান করুনারাত্নে ও ধনঞ্জয়। আগেরদিনের ৩ উইকেটে ৫১২ রানের সঙ্গে প্রথম তিন ওভারেই যোগ করে ফেলেন ১৮ রান।
তবে দিনের পঞ্চম ওভারে নিজের বোলিংয়ে বৈচিত্র আনেন তাসকিন। ফলে প্রথম তিন বল খেলতে সমস্যা হয় ধনঞ্জয়ার। চতুর্থ বলটি অফস্ট্যাম্পের বাইরে পেয়ে হাত খোলার চেষ্টা করলে সেটি তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ২৯১ বলে ১৬৬ রানের ইনিংসের।
এখানেই শেষ নয়, নিজের পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটসম্যান করুনারাত্নেকেও ফেরান তাসকিন। তার ১৪১ প্রতি ঘণ্টায় করা বাউন্সারে মিড উইকেটে পুল খেলতে চেয়েছিলেন করুনারাত্নে। কিন্তু মিস টাইমিংয়ে ধরা পড়ে যান নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
ফলে শেষ হয়ে যায় ৬৯৮ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংস। তার ব্যাট থেকে এসেছে ক্যারিয়ার সেরা ২৪৪ রানের ইনিংস। ধনঞ্জয়ের বিদায়ে ভাঙে ৩৪৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। যা টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর মাত্র ৮ রানের জন্য ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রান পূরণ করা হয়নি করুনারাত্নের।
দুই সেট ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পর পাথুম নিসাঙ্কাও বেশিদূর যেতে পারেননি। এবাদত হোসেনের বল কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ১২ রান করেন তিনি। পরে ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে মাত্র ৬ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন নিরোশান ডিকভেলা। তবে রানআউটে কাঁটা পড়েন ডিকভেলা, করেন ৩১ রান।
স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানরা ফিরে যাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন হাসারাঙ্গা ও সুরঙ্গা লাকমল। তারা দুজন মিলে অষ্টম উইকেটে গড়েন ৬৪ বলে ৬৬ রানের জুটি। সেশন শেষের আগে তাইজুকের বোল্ড হন হাসারাঙ্গা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ রান। লাকমল অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।