ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার পাল্লেকেলে টেস্ট। এই মাঠে যতই দিন গড়ায় ততই ব্যাটিংবান্ধব হয় উইকেটের আচরণ। আগের ম্যাচগুলোর এই তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রিম ঝুঁকি নিয়ে বলে দেয়াই যায় যে, ড্র ব্যতীত অন্য কোনো ফল সম্ভব নয় চলতি টেস্টে।
কেননা ম্যাচের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে শেষ হয়নি মাত্র দুই ইনিংসও। তার ওপর বাংলাদেশের করা ৫৪১ রানের জবাবে সহজেই ফলোঅন এড়িয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ ম্যাচের ফলাফল পেতে পুরো চার ইনিংস খেলা ছাড়া সম্ভব নয়। লঙ্কানরা ফলোঅনে পড়লে হয়তো তাদের আরেকবার অলআউটের ঝুঁকি নিতে পারত বাংলাদেশ।
কিন্তু সেই সুযোগই দেননি লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা। খাটি ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের ধৈর্য্যের চরম পরীক্ষা নিচ্ছেন এ দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। তাদের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে একটু একটু করে বাংলাদেশের সংগ্রহের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০৬ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৪৬ রান। বাংলাদেশের চেয়ে ১৯৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করে ১৪২ রানে অপরাজিত রয়েছে করুনারাত্নে। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ধনঞ্জয়ের সংগ্রহ ৮৬ রান।
তৃতীয় দিন ৭৩ ওভার ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। আজ প্রথম ঘণ্টায় আরও ১৫ ওভার ব্যাটিং করে ৪২ রান যোগ করেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান করুনারাত্নে ও ধনঞ্জয়। তাদের আউট করার তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
তাসকিন আহমেদের করা ৮৬তম ওভারের তৃতীয় বলটি অনসাইডে ঠেলে দিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন করুনারাত্নে। এ মাইলফলকে পৌঁছতে ২৪৭ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ৮টি চারের মার। করুনারাত্নের ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর খানিক আক্রমণাত্নক ব্যাটিং শুরু করেছেন করুনারাত্নে। তাসকিনের করা ৮৮তম ওভারে চার বলে তিন চারের মারে তুলে নিয়েছেন ১৪ রান। যা বাড়িয়েছে তাদের রানরেট, এগিয়ে দিয়েছে ফলোঅন এড়ানোর পথে। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ডানহাতি ধনঞ্জয়।
ইনিংসের ৮০ ওভারের পর দ্বিতীয় নতুন বল নিলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। আবু জায়েদ রাহী খানিক মুভমেন্ট আদায় করলেও, ঠিক লাইনে বল করতে পারেননি তেমন। যে কারণে লঙ্কানদের খেলতেও কোনো সমস্যা হয়নি।