গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৮৬৯ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জনে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৪৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২২টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ১৯৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ৪১৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৮৯৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৮টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর বিভাগে তিন জন করে ১২ জন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন, হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে এক জনকে।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৬০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয় জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে এক জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৭০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ১৬৫ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।