লো স্কোরিং ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির এ জয়ে বোলাররা দারুণ ভূমিকা রাখেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) চেন্নাইর চিপোকে এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দিল্লি।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি দিল্লি। দলীয় ১১ রানে বিদায় নেন ওপেনার পৃথ্বী শ। তবে পরের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় জয় তুলে নিতে ভুল করেনি রিকি পন্টিংয়ের কোচিংয়ের দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৪৫ রান করেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। এছাড়া স্টিভেন স্মিথ ৩৩ ও ললিত যাদব ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
মুম্বাই বোলার যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, রাহুল চাহার ও কাইরন পোলার্ড একটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি বোলারদের সামনে সুবিধে করতে পারেনি মুম্বাইর ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে অমিত মিশ্রার দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারান রোহিত-পান্ডিয়ারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন অধিনায়ক রোহিত। মিশ্রার বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩০ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কা হাঁকান।
দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইশান কিষাণ (২৬), সূর্যকুমার যাদব (২৪) ও জয়নাত যাদব (২৩) রান পেলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে না পারায় দলীয় সংগ্রহ বাড়েনি।
দিল্লি স্পিনার মিশ্রা ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। আভেশ খান ২টি উইকেট নেন। এছাড়া মার্কাস স্টোইনিস ও কাগিসো রাবাদা একটি করে উইকেট দখল করেন।
৪ ম্যাচে ৩ জয় ও এক পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি। ৩ ম্যাচে সবকটি জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে মুম্বাই।