দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ব্যাট হাতে রানে ফিরলেন নাজমুল হাসান শান্ত। ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি।
অন্যদিকে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকা তামিম ইকবাল ৯০ রান করে বিদায় নিয়েছেন। আর মাত্র ১০ রান করতে পারলেই মুমিনুল হকের রেকর্ড ছুঁতে পারতেন তিনি।
সব ফরম্যাটেই শান্তর সাম্প্রতিক ব্যাটিং ফর্ম ছিল প্রশ্নের মুখে। ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চার ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ৪০ রান। সেবার একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ এবং সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেও তার ব্যাটে রানের দেখা ছিল না। কিন্তু বার বার তার একাদশে সুযোগ পাওয়ায় সমালোচনা হয়েছে অনেক। এবার সব সমালোচনার জবাব ব্যাটেই দিলেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনে বুধবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ৮ রানেই বিদায় নেন ওপেনার সাইফ হাসান। লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাইফ (০)। যদিও শুরুতে নট আউটের ইশারা করেন ফিল্ড আম্পায়ার। কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগার পর রিভিও নেন স্বাগতিক অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। আর তাতে সিদ্ধান্ত আউট আসে।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তামিম ও শান্ত। তামিম তো রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেন। ৫৩ বলে তুলে নেন ফিফটিও। এর মধ্যে ৪০ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। এক সময় তো বলের চেয়ে রানই ছিল বেশি। ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে নিজেকে কিছুটা সামলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তামিম ফিফটির দেখা পাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে আসে। দ্বিতীয় সেশনে লঙ্কান বোলাররাও গুড লেন্থ খুঁজে পান। এরমধ্যেও ১২০ বলে ৭ চারে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। এটি তার ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি। অন্যপ্রান্তে তামিম ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। দুজনে ১৪৪ রানের দারুণ জুটিও গড়েন।
কিন্তু বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে থিরিমান্নের হাঁটে ক্যাচ তুলে দিয়ে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থামেন তামিম। ১০১ বল খেলে এই ইনিংসটি সাজানোর পথে ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি। আর তাতে মুমিনুলের একটি রেকর্ডে ভাগ বসানো হলো না তার। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল (১০টি)। আর তামিমের সেঞ্চুরি এখন পর্যন্ত ৯টি।