বর্তমানে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টও বলা হয় একে। তবে গত বেশ কয়েকবছর ধরেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ছেড়ে নতুন আরেকটি প্রতিযোগিতার কথা ভাবছে ইউরোপের ক্লাবগুলো।
আর সেই প্রতিযোগিতা সত্যিই মাঠে গড়ালে বড়সড় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদসহ ইউরোপের বড় বড় ১২টি ক্লাব। শুধু তাই নয়, এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ফুটবলারদের বিশ্বকাপ থেকেও নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ফিফা।
শীর্ষ লিগগুলোর বড় বড় দলগুলোকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বেরিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) আয়োজনের চিন্তাভাবনা চলছে অনেকদিন ধরেই। এবার নতুন করে শুরু হয়েছে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের তোড়জোড়।
তাই আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এসব ক্লাবের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এবং বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনও।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ফিফা এবং আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থেকে এই বিধ্বংসী প্রকল্প বন্ধ করতে কাজ করব। গুটি কয়েক ক্লাব শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থে এই পরিকল্পনা করেছে। বিশেষ করে যখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি সামাজিক সংহতির প্রয়োজন।’
এরই মধ্যে ইএসএলে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর মামলাও করতে চলেছে উয়েফা। তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই প্রকল্প প্রতিহত করতে ক্রীড়াগত ও আইনিভাবে যত কিছু করা সম্ভব, তার সবই করব আমরা। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার মানের ওপর ফুটবল গড়ে উঠেছে; অন্য কোনোভাবেই তা হতে পারে না।’
একই বিবৃতিতে ফুটবলারদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা লিখেছে, ‘ফিফার পক্ষ থেকে আগেই যেমনটা বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে অংশ নেয়া সব ক্লাব ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য সব প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হবে এবং তাদের খেলোয়াড়রা নিজ নিজ জাতীয় দলেও আর খেলতে পারবে না।’
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পরিকল্পনায় ফ্রান্স ও জার্মানির ক্লাবগুলো অংশ না নেয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে উয়েফা। এ প্রকল্পে থাকা ক্লাবগুলো হলো এসি মিলান, আর্সেনাল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা, ইন্টার, জুভেন্টাস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও টটেনহ্যাম।