করোনা-সঙ্কট মোকাবিলায় লাতিন আমেরিকার দরিদ্র ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন লিওনেল মেসি। লাতিন আমেরিকার ২৫ হাজার দরিদ্র ফুটবলারের জন্য ৫০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাক্সিন কিনে দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
কনমেবলের শীর্ষ কর্মকর্তা গঞ্জালো বেলোসোকে টুইট করে জানান, চীনা ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম সিনোভ্যাকের সাথে চুক্তি শেষে লিওনেল মেসি তাদের তিনটি অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি উপহার দিয়েছেন। এতে ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিনোভ্যাকের প্রেসিডেন্ট।
যদিও সিনোভ্যাকের সঙ্গে লিওনেল মেসির এই চুক্তিটি নিয়ে বেশ বিতর্ক উঠেছে। উরুগুয়ের চরম রক্ষণশীল রাষ্ট্রপতি লুইস ল্যাকাল পাউ চুক্তিটির সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পৃথিবীর এই ক্লান্তিলগ্নে অন্যসব মানুষদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ফুটবলারদের জন্য এই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন উরুগুয়েয়ান প্রেসিডেন্ট।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় সর্বাধিক বিপর্যস্ত দেশ উরুগুয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্ব রেকর্ড গড়ছে। এই অঞ্চলে কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগের হারও লাতিন আমেরিকার অন্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন।
তবে মেসির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উরুগুয়ের ক্যানলোনস শহরের মেয়র ইয়ামান্দে ওরসি। এখনও পর্যন্ত ক্যানলোনস এই শহরের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২.৪ শতাংশ মানুষের টিকা দেওয়া হয়েছে। ক্যানলোনস শহরের বলেন,
“রাষ্ট্রপতি যেমন কোপা আমেরিকার জন্য টিকা দেওয়ার জন্য কনমেবলের সাথে সহযোগিতা প্রকাশ করেছিলেন, তেমনি তিনি ক্যানলোনসের ক্ষেত্রেও একই চিন্তা ভাবনা করতে পারতেন।”
লিওনেল মেসির ৫০০০০ হাজার ভ্যাকসিনের মধ্যে বেশকিছু আর্জেন্টিনার প্রথম বিভাগের দলের খেলোয়াড়রা পেতে যাচ্ছে। মূলত, কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মূল দলের সব ফুটবলারদের টিকার আওতায় আনতে চায় এফএ যাতে টুর্নামেন্টে যেকোন ফুটবলারকে ডাকা যেতে পারে।
এবারের লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা যৌথভাবে আয়োজন করবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। ২০২০ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে ২০২১ সালে আনা হয়। চলতি বছর জুনে শুরু হবে কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর।